বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দুদকের চোখে চৌদ্দগ্রামের সড়ক প্রকল্প: ১.৬৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ঘিরে দায়মুক্ত দুর্নীতির আলামত কুড়িগ্রামে নিজের দেওয়া ফাঁদে নিজেই নিহত স্বৈরাচারের দোসর কীভাবে বিআরডিবির চেয়ারম্যান?—সাধারণ মানুষের তীব্র প্রশ্নে মুখর ব্রাহ্মণপাড়া বগুড়ায় অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড ২ হাতিয়া স্টুডেন্ট ফোরাম, চবি’র ৭ম কার্যকরী কমিটি গঠন নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় বিএডিসির গুদামরক্ষক গ্রেপ্তার কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সাটিফিকেট প্রদান মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটির সেমিনার; কুইজ প্রতিযোগিতা ও র‍্যফেল ড্র অনুষ্ঠিত গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিনকে নির্যাতনের পর কারাগারে মৃত্যু : সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশে উত্তাল আহলে সুন্নাত জনতা, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর বাসির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

অপারেশন ডেভিল হান্টে যেনো আইনের ব্যত্যয় না ঘটে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

এইচ এম নুরুন্নবী হুসাইন, স্ট্যাফ রিপোর্টারঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, একটি নির্মম স্বৈরশাসনের অবসানের পরে দেশকে স্থিতিশীল করতে এবং জনশৃংখলা ফিরিয়ে আনতে “ডেভিল”দের নিধন করা অপরিহার্য কাজ ছিলো। সরকার দেরিতে হলেও সেই কাজ শুরু করেছে; সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও অপরাধীদের নিরাপদে বিচরণ করার খবর জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে যার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে গত কয়েক দিনে। একটি কার্যকর রাষ্ট্রে আইন বহির্ভুত ভাংচুর গ্রহণযোগ্য না হলেও স্বৈরাচারের নির্লজ্জতা তার পটভূমি তৈরি করেছে এবং ন্যায্যতা তৈরি করেছে।

আজ রবিবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সচিব পর্ষদের এক সভায় এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কে এম আতিকুর রহমান।

 

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আমরা মনে করি, বিপ্লবের পরে স্বৈরাচারের বিচারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হয়। সেজন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে বল আমরা আশা করি। তবে একই সাথে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই যে, কোন অবস্থাতেই আইনের শাসনের ব্যত্যয় যেনো না ঘটে। অপরাধী যত বড়ই হোক বা তার পাপের পাল্লা যত ভারিই হোক তার বিচার আইনের মাধ্যমেই হতে হবে এবং আইন প্রয়োগে অবশ্যই বিদ্যমান রীতি-নীতির কঠোর অনুসরণ করতে হবে।

 

তিনি বলেন, অতিতের অভিজ্ঞতায় বলা যায় যে, এই ধরণের অপারেশনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপরাধ মানুষ ফেঁসে যায়। তথ্যের গড়মিল,গণ ধরপাকড় ইত্যাদির কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানী হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি এই বিষয়গুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত