বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দুদকের চোখে চৌদ্দগ্রামের সড়ক প্রকল্প: ১.৬৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ঘিরে দায়মুক্ত দুর্নীতির আলামত কুড়িগ্রামে নিজের দেওয়া ফাঁদে নিজেই নিহত স্বৈরাচারের দোসর কীভাবে বিআরডিবির চেয়ারম্যান?—সাধারণ মানুষের তীব্র প্রশ্নে মুখর ব্রাহ্মণপাড়া বগুড়ায় অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড ২ হাতিয়া স্টুডেন্ট ফোরাম, চবি’র ৭ম কার্যকরী কমিটি গঠন নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় বিএডিসির গুদামরক্ষক গ্রেপ্তার কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সাটিফিকেট প্রদান মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটির সেমিনার; কুইজ প্রতিযোগিতা ও র‍্যফেল ড্র অনুষ্ঠিত গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিনকে নির্যাতনের পর কারাগারে মৃত্যু : সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশে উত্তাল আহলে সুন্নাত জনতা, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর বাসির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা প্রদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন 

উপজেলা প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে’র আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে বিনামূল্যে পিপিআর (দ্বিতীয় ডোজ) টিকা প্রদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে ।  মঙ্গলবার (১লা অক্টোবর) সকালে ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজ মাঠে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার । একই দিনে একযোগে উপজেলার দশটি ইউনিয়নে এ টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১লা অক্টোবর থেকে উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ নির্মূলে ২৭০ টি ভেন্যুতে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৭৭ হাজার ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর টিকা (২য় ডোজ) প্রদান করা হবে।  পিপিআর রোগে আক্রান্ত ছাগল-ভেড়ার শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যায়। ছাগলের নাক, মুখ, চোখ দিয়ে প্রথমে পাতলা তরল পদার্থ বের হয়। পরবর্তীতে তা ঘন ও হলুদ বর্ণ ধারণ করে। অনেক সময় অসুস্থ প্রাণীটির মধ্যে মারাত্মক রকমের ডাইরিয়া দেখা দিতে পারে। অসুস্থ প্রাণীটির ওজন হ্রাস পায়। পিপিআর আক্রান্ত ছাগল অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অসুস্থ হওয়ার ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রাণীটি মারা যেতে পারে। পিপিআর রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে ২য় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়ার এবং পরজীবী সংক্রমণ রোধ করে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আশিকুজ্জামান বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে পিপিআর রোগ নির্মূল করতে  ভ্যাক্সিনেশন এর কোনো বিকল্প নেই। ২০৩০ সালের মধ্যে পিপিআর রোগ নির্মূল করতে খামারিদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং তাদের পালিত ছাগল ও ভেড়া টিকে পিপিআর ভ্যাক্সিন দিতে উদ্বুদ্ধ করেন।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আশিকুজ্জামান, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোঃ হোসনে আরা খাতুন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ এনামুল হক, সরকারি কলজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) আজিজুর রহমান স্বপন সহ ছাগল-ভেড়ার প্রান্তিক পর্যায়ের ছোট-বড় খামারীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত