বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে প্রতারণা: প্রেসক্লাবের তহবিল লোপাটে ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তা! চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবীতে ট্রেন অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন গোবিন্দগঞ্জে নদীর জেগে ওঠা চরের জমি নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আহত ১০ দিনাজপুর সরকারি কলেজে ২ দিনব্যাপী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী এবং খাদ্য উৎসবের বর্ণিল উদ্বোধন শেখ হাসিনার সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে যুক্ত হয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম গ্রেফতার দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনারোধ ও দুর্ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উলিপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন বগুড়ায় দর্শনার্থীকে ছিনতাই, ২ যুবক গ্রেপ্তার সুস্বাদু তালের শাঁস/গরমের আরাম তালের শাঁস মেহেরপুর আমঝুপীতে কলা চুরিকে কেন্দ্র করে একজনকে কুপিয়ে যখম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের  হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি গ্রেফতার

 

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের হরিনগর(কালিতলা) গ্রামে মতিন তেলি নাম এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মোঃ শুকুরুদ্দিন (৪২), তার স্ত্রী মোসাঃ পিয়ারা বেগম (৩৫) ও মোঃ পিয়ারুল ইসলাম (২৩)। পুলিশ জানিয়েছে তারা সকল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

গত ২ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টায় মতিন তেলি বাড়ির পাশের সাহেবগ্রাম জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে তিনি বাড়ি ফিরেননি। পরদিন ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার স্ত্রী ফেনী ও পরিবারের সদস্যরা লোকমুখে জানতে পারেন, শুকুরুদ্দিনের বাড়ির শয়নকক্ষে মতিনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। লাশ পরীক্ষা করে দেখা যায়, মতিনের ডান গাল, হাতের বাহু, উরু, থুতনি, কপাল ও বাম পায়ে গভীর কাটা দাগ রয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে গোমস্তাপুর থানায় শুকুরুদ্দিন, পিয়ারা বেগম, পিয়ারুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যার মামলা (মামলা নং-০১/৩৮, ধারা-৩০২/৩৪) দায়ের করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৯ মে মানিকগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, মতিন তেলি তেল বিক্রির পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। পিয়ারা বেগমের পেটের ব্যথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার সঙ্গে মতিনের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পিয়ারা এই সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইলে মতিন জোরজবরদস্তি চালাতেন।

ঘটনার দিন (২ মার্চ) পিয়ারা আবার অসুস্থ হলে মতিন তেলি চিকিৎসার জন্য তাদের বাড়িতে আসেন। তিনি শুকুরুদ্দিনকে মিষ্টি কিনতে পাঠান এবং পিয়ারুল বাড়ি না থাকায় পিয়ারার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে গেলে পিয়ারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে বাড়ি ফিরে শুকুরুদ্দিনও তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। তারা ছেলেকে ফোন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মামলার তদন্ত ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে তারা তৎপর রয়েছেন

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত