বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সীমান্তবর্তী শেরপুরে হাতীর আক্রমণে যুবকের মৃত্যু ভালুকার মল্লিকবাড়ী বটগাছের ছায়াতলে নরসুন্দরদের হাট রংপুরে অটো চালক শাওন হত্যা মামলার আসামী র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার পাইকগাছায় সাবেক কাউন্সিল কবিতা-র সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিপক্ষ জাকির হোসেন।। দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত রংপুর বিএসটিআই’র উদ্যোগে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালিত কুড়িগ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রির চেষ্টা, ৫ জনের কারাদণ্ড মেহেরপুরে শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নে সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাজনগর ও কুলাউড়ার দুই ওসি প্রত্যাহার ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু !

মহেশখালীর শাপলাপুর বন বিভাগের আগুনে পুড়ছে পানের বরজসহ বহু গাছপালা

 

মিজবাহ উদ্দীন আরজু, মহেশখালী ::

বনায়নের নামে পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে কৃষকদের পানের বরজ, গাছপালা, বিভিন্ন জীববৈচিত্র্য, পশুপাখিসহ তাদের আবাসস্থল পুড়িয়ে দিয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা শাপলাপুর বনবিট স্টাফ স্বপনের নেতৃত্বে বনপ্রহরী ও কাজের শ্রমিকরা। এ সময় পান বরজ, ছোট-বড়-মাঝারি সাইজের ৪-৫শ গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিনষ্ট হয়ে যায় পশুপাখিদের আবাসস্থল। ধারণা করা হচ্ছে আগুনে বহু পশুপাখির মৃত্যুও হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গত ১৭ মে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকার পশ্চিমের পাহাড়ে এঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায় – স্থানীয় দরিদ্র জনগণকে বনের কার্যক্রমে সরাসরি অংশীদারত্বমূলক উপকারভোগী হিসাব করার জন্য সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়ন করেতেছে বন বিভাগ। শাপলাপুরে বিটের তত্বাবধানে এবং কয়েকজন বনকর্মীর উপস্থিতিতে জেমঘাটের পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন করার লক্ষ্য বনায়নের প্রকল্পের ৮-১০ জন শ্রমিক স্টাফ মি বাগানে আগুন দেন এবং পুড়ে যাওয়া বন পরিস্কার করে সামাজিক বনায়নের বাগান করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর দ্বীপটির পরিবেশ রক্ষার চেয়ে বিপর্যয় ঘটাতে ভূমিকা রাখছে বন বিভাগের লোকজন। বনায়নের নামে গাছ কাটা, পাহাড় ও গাছ খেকোদের সঙ্গে আঁতাত করে পাহাড় কাটা ও গাছ কাটায় পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের নাকের ডগায় প্রতিদিন রাতে পাহাড় কেটে মাটি ও গাছ পরিবহন করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো পদেক্ষপ গ্রহণ করে না বন বিভাগের কর্মকর্তারা। পরিবেশ রক্ষায় বন বিভাগের কেন এই উদাসীনতা সেই বিষয়ে জানতে চাইলে বন বিভাগের কেউই মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন , সামাজিক বনায়ন করতে সুফলভোগীর শ্রমিকেরা আগুন দিয়েছে শুনেছি। মামলার স্বাক্ষ্য থাকায় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেনি বলে জানান। তবে তিনি এঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন

সহকারী বন সংরক্ষক সাজমিনুল ইসলাম বলেন আমরা বনে আগুন দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি এবং সামাজিক বনায়নের প্রকল্পের সভাপতি/সেক্রেটারিকে শোকজ করেছি। বাগানে আগুন দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেদায়েত উল্লাহ বলেন- সরকারি টাকার বন বিভাগের লোকজন কর্তৃক বনে আগুন দেওয়ার অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে এবং বিষয়টি বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, বনে ‘আগুন লাগানোর কোনো আইন নাই। তবুও আগুন দিয়ে বন পরিষ্কারের নিয়মটি দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে।

বার্তা প্রেরক-
মিজবাহ উদ্দীন আরজু
(মহেশখালী উপজেলা)
মোবাইল : ০১৮১১৩২৩৩৩৯

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত