চরমোনাইওয়ালাদের গেমমেকার বলা যায়। কেননা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেভাবে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছে, সেটা ইতিহাস হয়ে থাকবে চিরকাল। এদেশের ছাত্র- জনতা মনে রাখবে চরমোনাই এর পীর সাহেবকে। আন্দোলনের ছাত্ররা যেন দিশেহারা হয়ে অভি়ভাবক তালাশ করছিল। বিভিন্ন সাইডে সমর্থন পেলেও রাজপথে কাউকে সেরকম এ্যাকটিভ পাচ্ছিলনা। কিন্তু চরমোনাই এর নায়েবে আমীর এবং তাঁর বিশাল কর্মিবাহিনী যখন রাজপথে নেমে গেল, তখন কিন্তু ছাত্র সমাজের হার্ট মজবুত হয়ে পড়ে। ওরা মুহুর্তেই চাঙ্গা হয়ে যায়। আন্দোলনের গতি হয়ে পড়ে অপ্রতিরোধ্য।
আপনারা যে যাই বলেন না কেন, সেদিন পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ কর্মিবাহিনী রাজপথে না নামলে হয়ত আজ এ ইতিহাস লেখা যেত কিনা জানিনা। এই রাজপথের মহানায়ক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অভিভাবকের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিকগণ এমনকি বিশ্বের খ্যাতনামা ইতিহাসবেত্তাদের কলমে ২০২৪ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম কাতারে জ্বল জ্বল করতে থাকবে চরমোনাই এর নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীম এর নাম।
আমি কাউকে খাটো করতে চাই না। ডানপন্হী সকল আলেম ও সংগঠনগুলোর বড় অবদান বিগত সরকার পতনে। বিশেষ করে যারা জেল- জুলুমের শিকার হয়েছেন, তন্মধ্যে মাওলানা মামুনুল হক সাহেব ও হেফাজত, জামাত, জমিয়তসহ অন্যান্য সকল ইসলামী দলের সীমাহীন অবদান। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ দেশে স্হিতিশীল পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
বিনীত অনুরোধ এখন সবার কাছে, কৃষক সারাবছর মেহনত করে যদি ফসল ঘরে তুলতে না পারে, এর থেকে দুঃখের বিষয় আর কিছু থাকেনা। তদ্রুপ আন্দোলন সংগ্রাম করলেন আলেমগণ, পীর মাশায়েখগণ, ছাত্রগণ। এখন যদি আগামীর নেতৃত্ব আলেমদের হাতে না থাকে, তাহলে এর থেকে আফসোসের বিষয় আর কিছু থাকবেনা।
এজন্য ঐক্যের বিকল্প নেই। আপাতত, কেউ কারো বিরুদ্ধে বিষোদগার নয়। একটা বৃহৎ স্বার্থে ঐক্য গড়ে তুলি। আমার মনেহয় চরমোনাই, জামাত এবং হেফাজতের আলেমদের সমর্থন ঐক্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। উজ্জল হবে আগামী ভবিষ্যত।
আল্লাহ কবুল করুন। আমিন।
( শিক্ষক ও কলামিস্ট)