সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৮:০৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
টেকনাফে পৃথক অভিযানে ১ লক্ষ ২০ হাজার ইয়াবা দেশীয় মদসহ আটক-২, মহানন্দা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া এক যুবকের লাশ উদ্ধার ভূরুঙ্গামারীতে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাকা হওয়ার আগেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং, দেখা দিচ্ছে ফাটল ভূরুঙ্গামারীতে কাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং, অনিয়মের অভিযোগ। সরিষাবাড়ীতে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন গোবিন্দগঞ্জে ইন্ডাষ্টিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসমেন ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই জনের মৃত্যু নবাবগঞ্জে মাদক বিরোধী র্য্যালি ও এ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন কুড়িগ্রামের রৌমারীতে টাকা গুনে ঘুষ নেয়া তসিলদারের ভিডিও ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুইজারল্যান্ডের এম্বাসি কোরিন থেভজ নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম ভিজিট 

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে টাকা গুনে ঘুষ নেয়া তসিলদারের ভিডিও ভাইরাল

 

সমাপ্তি ইসলাম

বিশেষ প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মণ্ডলের ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দুই মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এখন মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন একটি ভিডিও কালবেলার প্রতিবেদকের হাতেও রয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দবেড় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার অফিসের খাস কামরায় বিছানার ওপরে বসে থাকা ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল কোনো এক ব্যক্তির নিকট থেকে ঘুষের টাকা গুনে গুনে নিচ্ছেন।

ওই ভিডিওতে ভূমি কর্মকর্তা টাকা হাতে নেওয়ার সময় বলতে শোনা যায়, বেশি করে দেন, বড় স্যারের কাছে গেছেন যহন। কাল না কলেন ১৫ দিমু।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও সূত্র ধরে বন্দবেড় ইউনিয়নের চর বন্দবেড় গ্রামের ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহেল কাফীর কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা লেনদেনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, আমার ৩ একর জমির খাজনা দিতে বন্দবেড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাই। ভূমি কর্মকর্তা আমার কাছে সরকারি হিসেব অনুযায়ী ১ লাখ ১২ হাজার টাকা খাজনার হিসাব দেয়। তখন আমি বলি- ২০২৪ সাল পর্যন্ত খাজনা দেওয়া আছে। এতো টাকা কীভাবে হয়। পরে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে ১ লাখ টাকায় নিষ্পত্তি করে দিতে চান।

তিনি আরও বলেন, দরকষাকষি করে সর্বশেষ ১১ হাজার টাকাসহ ভূমি কর্মকর্তার কাছে কয়েক কিস্তিতে মোট ৭১ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু পরে খাজনার দাখিলায় দেখতে পারি, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মাত্র ১ হাজার ৫০৫ টাকা পরিশোধ দেখিয়েছেন ওই ভূমি কর্মকর্তা। বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম প্রতারণা করে যে টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছেন তা ফেরত চাই এবং এসব ঘুষ দুর্নীতির যথাযথ বিচার চাই।

ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে বন্দবেড় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে জানতে চাইলে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল বলেন, বক্তব্য দেওয়া লাগলে স্যারের অনুমতি নিয়ে দেব। এ কথা বলেই তিনি চেয়ার থেকে উঠে চলে যান।

এ প্রসঙ্গে রৌমারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও জানান, জনগণেরও দোষ আছে। কাজ না হলে তারাও কিন্তু মাঝেমধ্যে এরকম দোষারোপ করেন। ভুক্তভোগী আমার কাছে কিংবা ইউএনও’র কাছে এসে অভিযোগ দাখিল করে প্রমাণ করুক।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত