বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
আবুল হোসেন বাবলুঃ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলাসহ বর্বরোচিত হত্যার দায়ে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে সারা বাংলাদেশের ন্যায় রংপুরে নিন্দা ও প্রতিরোধের ডাক সহ প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বাদ যোহর রংপুরের কেরামতিয়া মসজিদ সহ বিভিন্ন মসজিদে ফিলিস্তিনিদের হেফাজতে
দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ এপ্রিল সারাদেশের ন্যায় রংপুরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ গাজা ও রাফায় বোমাবর্ষণ, ভূমি দখল, শিশু সহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা সহ ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ জানায়।
ইসরায়েলিদের নির্মমতা ও বর্বরতায় আজ গাজা ও রাফায় গণহত্যার রূপ নিয়েছে। নিরস্ত্র জনগণের ওপর চলমান এই হামলা মানবতার মৌলিক নীতিমালা, আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক সংগঠনগুলো
এই নৃশংস জাতিগত নিধনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধবিরতি, অবরোধ প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিছে। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বলা হয়,ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য ও রংপুর মহানগর আমীর উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে সারাবিশ্বের মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এছাড়া জাতিসংঘ এবং ওআইসিকে এই গণহত্যার বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক ও আইনি অধিকারকে পূর্ণভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। গাজা ও রাফায় বোমাবর্ষণ, ভূমি দখল, বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ, ইসরাইলি গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়া, অস্ত্র সরবরাহ ও কূটনৈতিক ছত্রচ্ছায়া প্রদান বন্ধ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, পেট্রোডলার ও অস্ত্রবাণিজ্যের স্বার্থে মানবতাকে বলি দেওয়ার এ নীতিকে আমরা চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করি।
সোমবার ৭ এপ্রিল রংপুর মহানগরী সহ নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক সংগঠন সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।