বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে ড্রেনের পানি ফেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত- ১ জন । নওগাঁয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিরসঙ্গে ডাসকোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাকশীমুল ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটি ঘোষণা: সভাপতি জসিমউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ নওগাঁয় বাল্যবিবাহ ও প্রতারণা বিশারদ কাজী বেলাল, ভাঙছে শত শত পরিবার মেহেরপুরে বিএনপির কমিটি গঠনে কোন্দল গড়ালো আদালতে মামলায়  অটোপাসের দাবিতে উত্তাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্যের ওপর হামলা কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উপর অবৈধ হাট- বাজার উচ্ছেদের নামে চোর-পুলিশ খেলা মনিবুল হক বসুনিয়াকে কর্মস্থানে পুনর্বহালের দাবিতে রাজারহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাভারের আ.লীগ নেতার সাথে এক ব্যবসায়ী এর ছবি এডিট করে অপপ্রচার- নুরুজ্জামান প্রতিবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে গরুর লাম্পি ভাইরাস, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা ।

 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

ঠাকুরগাঁও জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ (এলএসডি)। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে ৩৭টি গরু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে স্থানীয় খামারিদের দাবি, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
গরুর শরীরে গুটি ওঠা, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং দুধের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ভাইরাসটিতে। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যে কয়েকটি গরুর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ি এলাকার খামারি মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার দুইটা গরু মারা গেছে। গরিব মানুষ, এগুলোই ছিল একমাত্র অবলম্বন। এখন সব শেষ।’বেগুনবাড়ী গ্রামের খামারি আবু তালেব জানান, একটা বিদেশি জাতের বাছুর মারা গেছে। পশু হাসপাতালে নিয়েও কোনো লাভ হয়নি। দামি ছিল বাছুরটা। হাবুসপাড়া, মাঝিপাড়া, নতুনপাড়া ও মালিপাড়ায় তার তত্ত্বাবধানে অন্তত ১৫-১৬টি গরুর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি গরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান , ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্ট মনোরঞ্জন রায়। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রেজওয়ানুর হক বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার ২৪১টি খামারে তদারকি চালানো হয়েছে এবং ৩ হাজার ৮৭৮টি গৃহস্থালি খামারে নজরদারি চলছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ২০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গরুর স্বাস্থ্যসেবায় চারটি মেডিকেল ক্যাম্প চালু রয়েছে। সচেতনতা তৈরিতে ২৪টি উঠান বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, ‘খামারিদের বলা হয়েছে আক্রান্ত গরু আলাদা রাখতে, বাসস্থান পরিষ্কার রাখতে এবং নিয়মিত টিকা দিতে।’বিশেষজ্ঞদের মতে, লাম্পি ভাইরাসে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম হলেও অর্থনৈতিক ক্ষতি বড়। দুধ উৎপাদন ও বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় খামারিরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন। আগাম প্রতিরোধ, টিকাদান এবং সচেতনতাই হতে পারে এই রোগ মোকাবিলার কার্যকর উপায় বলে মনে করছেন তারা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত