বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মাদক সেবনের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার দুদকের চোখে চৌদ্দগ্রামের সড়ক প্রকল্প: ১.৬৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ঘিরে দায়মুক্ত দুর্নীতির আলামত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে এনসিপির ঘোষিত সমাবেশ শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে সিংড়ায় ধানবোঝাই ট্রাকে চাঁদাবাজি : সেনাবাহিনীর অভিযানে হাতেনাতে আটক বিএনপি নেতা জয়নালসহ তিনজন গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিনকে নির্যাতনের পর কারাগারে মৃত্যু : সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশে উত্তাল আহলে সুন্নাত জনতা, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম কক্সবাজার টেকনাফ শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামী আটক। র‌্যাব-১৩’র অভিযানে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার-গ্রেফতার-১ কমলনগর(এলজিইডি)অফিসে দুদকের অভিযান নওগাঁয় প্রায় ৩৫ টি পরিবারের লোকজনের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় প্রতিকারের দাবিতে মানববন্ধন নোয়াখালীতে যুবককে গুলি করে হত্যা আটক ৩, থানায় মামলা

দুদকের চোখে চৌদ্দগ্রামের সড়ক প্রকল্প: ১.৬৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ঘিরে দায়মুক্ত দুর্নীতির আলামত

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার

সরকারি অর্থে পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্প যেন হয়ে উঠেছে প্রভাবশালীদের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার— এমন অভিযোগ আরও একবার প্রমাণ হলো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED)-এর অধীনে বাস্তবায়নাধীন যাত্রাপুর-পারুয়ারা সড়কের কাজ নিয়ে স্থানীয়দের তীব্র অভিযোগ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

কাজের মান ও প্রকল্প বাস্তবায়নের পদ্ধতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ‘মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ’ নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার পর একটানা পাঁচ মাস কাজ বন্ধ রাখে। এরপর হঠাৎ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করে এবং স্থানীয় কিছু নেতার ছত্রছায়ায় কাজ চালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা বলেন, এই রাস্তায় আগেও কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল, কিন্তু বছর না যেতেই আবার নতুন প্রকল্প আসে। কিন্তু এই প্রকল্পও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

দুদক কর্মকর্তা মো. তারিকুর রহমান বলেন, “এলাকার জনগণের স্বার্থ রক্ষা ও সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা তদন্ত করছি। প্রাপ্ত তথ্যে যদি প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ধরনের তদন্ত কেবল একটি প্রকল্পের নয়, পুরো ব্যবস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত