সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌরসভা যুবদলের কর্মশালার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ কোনো প্রতিশ্রুতিই আর বিশ্বাস করে না । পাঁচবিবির আয়মা রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টনের অপসারণের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান, দিনাজপুরে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত দিনাজপুরে বিনামূল্যে উপকারভোগীদের মাঝে গরু বিতরণ অনুষ্ঠানে বিরল ইউএনও নোয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতিয় শিক্ষা পদক ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে বুড়িচংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী গ্রেপ্তার ঢাকা-জাপান ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত, যাত্রীদের জন্য অর্থ ফেরতের ঘোষণা বোয়ালমারীর ময়না ইউনিয়নের বিলস্রারাইল গ্রামের জোরপূর্বক বাড়িঘর ভাঙচুর ও উচ্ছেদের অভিযোগ নবাবগঞ্জে আদিবাসীর জমি দখলের ঘটনায় আদালতে মামলা

নবাবগঞ্জে আদিবাসীর জমি দখলের ঘটনায় আদালতে মামলা

 

নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:

দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে এক নিরিহ আদিবাসীর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ০৩.৫৯ শতক জমি গোলাম মর্তুজা(ফটিক)নামক এক ভূমিদস্যু কর্তৃক জবরদখল করে আত্মসাতের অপচেষ্টা অব্যাহত রাখায় আদালতে মামলা চলমান।

মামলার বাদী মৃত লুবিস হাসদার একমাত্র ছেলে বিনেস হাসদা।বিনেস হাসদা,এলাকার প্রবীন ব্যাক্তি, মামলার বর্ণনা সহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ে জানা যায় যে,বিনেস হাসদার দাদা শংকর হাসদা হরিরামপুর মৌজায় পত্তনমূলে প্রাপ্ত হয়ে বর্ণিত জমি এস,এ, ১৩২ খতিয়ান ভুক্ত হয়।সেই সূত্রে
চলমান আর,এস খতিয়ান মাঠপর্চা ডি,পি নং যথাক্রমে ১২৫,৩৭৩,২০৫ ও ২২৩,বিনেস হাসদা নামে প্রস্তুত হয়। বিনেস হাসদা হালসন খাজনা পরিশোধ করে আসছেন।ভূমিদস্যু গোলাম মর্তুজা ওরফে ফটিক শংকর হাসদা বা তার কোন অংশীজনের থেকে নহে এমন ব্যক্তির নিকট থেকে ও-ই জমির বানোয়াট ভিত্তিহীন কাগজপত্র সৃষ্টি করে দীর্ঘ ২৫-২৬ বছর ধরে জবর দখলের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

দিনাজপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিলকৃত ও-ই মামলার কাগজপত্র ও সাক্ষ্য প্রমাণে প্রতিয়মান হয় যে বিবাদী গোলাম মর্তুজা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সোলেনামা দেখিয়ে বাদি বিনেস হাসদাকে প্রায় ২৬ বছর ধরে
বিভিন্ন সময় ভয় ভীতি, হুমকি দিয়ে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। উল্লেখ্য বাদী বিনেস হাসদার পক্ষে আদালতে সর্বশেষ
আদেশ হলেও বিবাদী ও-ই আদেশ কে অমান্য ও অগ্রাহ্য করে বাদীর বাড়ি ঘর,বসতভিটা, কবরস্থান,বিভিন্ন ফলের বাগান সহ উচ্ছেদ করে ভেকু মেশিন এবং ট্রাক যোগে মাটি পর্যন্ত খনন করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে।এমনকি বাদীর বাবা লুবিস হাসদার লাশকেও গোপন করে অন্যত্র দাফন করে। অথচ ও-ই কবরস্থানে লুবিস হাসদার মা-বাবাসহ স্বজনদের কবর রয়েছে।গোলাম মর্তুজা একজন ভূমিদস্য জবর দখলকারী,মিথ্যা বানোয়াট মামলা সৃষ্টি করে অসহায়,উপজাতি ,সাওতাল সংখ্যালঘু মানুষকে অযথা হয়রানীকারী বলে এলাকায় পরিচিত।
বিনেস হাসদার আদালতে দায়ের কৃত মামলা নং ৩০/২২ নবাবগঞ্জ।এছাড়াও সে সর্বশেষে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা মতে আদালতে ৭৮ পি ২০২৫ মামলা দায়ের করে।বিজ্ঞ আদালত এ মামলার শুনানির দিন ২৭-০৫ -২০২৫ তারিখে ধার্য্য করেন। আরও জানা যায় বিনেস হাসদার পিতা লুবিস হাসদা নবাবগঞ্জ থানায় ১২-০১-২০০০ ইং একটি অভিযোগ দাখিল করেন,যাতে উল্লেখ থাকে গোলাম মর্তুজা তার দলবল সহ বর্ণিত জমি নিজের বলে দাবী করে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাড়া করে।পরবর্তীতে লুবিস হাসদার মৃত্যু হলে তার একমাত্র ছেলে বিনেস হাসদা ও-ই জমি উদ্ধারে নবাবগঞ্জ থানায় ১৩-১২-২০২২ ইং একটি অভিযোগ করেন যার নং-৮৮৩, যাতে উল্লেখ রয়েছে বর্ণিত জমি গোলাম মর্তুজা আমার বাবার নিকট থেকে বর্গা চাষি হিসেবে গ্রহন করে পরবর্তীতে প্রকাশ করতে থাকে সে লুবিস হাসদার নিকট থেকে কবলা খরিদ করে নিয়েছে।উল্লেখ্য যে আদিবাসী,শাঁওতালের নিকট থেকে জমি ক্রয় করতে হলে সরকারের নিকট থেকে পারমিশনের প্রয়োজন,কিন্তু সেটা সে আদালতে দেখাতে পারেনি! এমনি অবস্থায় লুবিস হাসদা পরলোক গমন করলে তার একমাত্র ছেলে বিনেস হাসদা দিনাজপুর আদালতে মামলা নং ৩০/২২ নবাবগঞ্জ দায়ের করেন।

দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ৭ নং দাউদপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর মৌজায় প্রায় ২৬ বছর পূর্বের বর্গা চাষী হিসেবে ভোগ করা ০৩ একর ৫৯ শতক জমি আদালতের মামলার রায় পাওয়ার পরেও নিরীহ বিনেস হাসদাকে ও-ই জমির দখল ছেড়ে দিতে বিভিন্ন প্রকার তাল বাহানা করা সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়- ভীতি ও হুমকি দিয়ে থাকে ভুমিদস্যু গোলাম মর্তুজা ওরফে ফটিক।এব্যাপারে

মৃত লুবিস হালদার একমাত্র ছেলে বিনেস হাসদা ন্যায় বিচারের আশায় আদালত সহ বিভিন্ন জনের কাছে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ গোলাম মর্তুজার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন কবে রায় হয়েছে তা আমার জানা নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত