বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
মোঃরিয়াজুল সোহাগ, জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালীঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে রাজুল্যাপুর জামে মসজিদের পুরনো কবরস্থানে নতুন মসজিদ ভবন নির্মাণ কে কেন্দ্র করে কমিটির সহকারী হিসাব রক্ষক আব্দুল কাদেরসহ মুসল্লীদের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজুল্যাহপুর গ্রামে রাজউল্যাহপুর জামে মসজিদের মুসল্লীদের মতামতের ভিত্তিতে পুরাতন মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মসজিদ কমিটি। কিন্তু নির্মাণাধীন জায়গায় কবরস্থানের জায়গা পড়ায় জুম্মার দিন মুসল্লিরা ইমাম সাহেবের কাছে অভিযোগ তুলে। ইমাম সাহেব বলছিল পুরনো কবরের উপর কোন মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। পাশে মসজিদ নির্মাণের জায়গা আছে। মূল ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যক্তি আলোচিত ছাগল কান্ডের অন্যতম হোতা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসর মতিউরের ক্যাশিয়ার তোফাজ্জল হোসেন ফরহাদের নেতৃত্বে এলাকা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সুত্রপাত।সাবেক রাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফের ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সল ইনাম কোমল জানান, ছাগল কান্ডের হোতা মতিউরের ক্যাশিয়ার তোফাজ্জল হোসেন ফরহাদের নেতৃত্বে তার লোকেরা ভেঁকু দিয়ে খুঁড়ে পুরনো কবরগুলো ফেলে দেয়। আবু হানিফ নামে কোন এক মুসল্লী নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়নি। মসজিদের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মসজিদের নির্মাণ কাজ করতে চাইলে, তাদের ১কোটি টাকা দিতে হবে বলে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।
ফয়সাল ইনাম কমল ও আবু হানিফ বলেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট, চাঁদা দাবির বিষয় ভিত্তিহীন। মসজিদের অনেক জায়গা থাকার পরও কবরস্থানের কিছু অংশে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ কাজ শুরু করায় মুসল্লীরা জানতে চাইলে এ অভিযোগ বানোয়াট।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান বলেন, ওই মসজিদের মুসল্লীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। মসজিদ নিয়ে হাতাহাতির কথা সত্য। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করি। ঐ মসজিদ নির্মাণে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরোধ। আমি কবরস্থানের ওপর মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মতামতের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং এ বিষয়টি নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কাছে জানিয়েছি।