ঘটনাটি ঘটে রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার চকদুর্লভলপুর গ্রামে পশ্চিম পাড়ায়।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় দেবরকে বিয়ের দাবিতে ১ সন্তানের জননী (২০) এক বছর ধরে চলছে অবৈধ সম্পর্ক।
শুক্রবার সকালে পুঠিয়া উপজেলা ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নে দুর্লভপুর গ্রামে পশ্চিম পাড়ায় দেবর আমিনের (১৯) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন,প্রতিবন্ধী বড় ভাইয়ের স্ত্রী কলি বেগম।
বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বিয়ে করার দাবি করছিলেন ভাবি দেবরকে , শুক্রবার সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়ে ভাবির মাধ্যমে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাঝে। মোঃ আমিন ও কলির স্বামী কাঠমিস্ত্রি মোতালেব পশ্চিম দুর্লভপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মালেকের ছেলে। ভাবির বিয়ের দাবির খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন আমিন।
ওই নারীর দাবি, বিয়ের পর থেকেই দেবরের সঙ্গে প্রায় ১বছর ধরে তার পরকীয়ার সম্পর্ক। প্রায় একমাস আগে আমিন বিয়ে করে নতুন স্ত্রীকে রেখে আসে উপজেলার ভাল্লুক গাছি ইউনিয়নে শশুর বাড়িতেই।
অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমিনের নতুন স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার দিন ধার্য করার আলাপ আলোচনা হয়। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে তিনি শশুর শাশুড়ি ও প্রতিবেশীদের কাছে ছোটা ছুটি শুরু করেন।
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই ছোট দেবর আমি নের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি বিয়ের কথা বললে নানা বাহানা দেখিয়ে প্রায় এক বছর পাশ কাটিয়ে যায় আমিন। দুই বছর আগে থেকেই আমার স্বামীর শারীরিক সমস্যা হয় তাই আমি বাবার বাড়ি চলে যেতে চাইলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে থাকতে বলে।
গত নয় মাস থেকে শপথ করে আসছে দু-চারদিনের মধ্যে আমাকে বিয়ে করবে। এখন আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেখে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। আমি ওর ওই বিয়ে মানি না আমি আমার স্বামীর ভাত খাব না আমি দেবরকেই বিয়ে করতে চাই। আমাকে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে তাই আমি তাকেই বিয়ে করতে চাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর শাশুড়ি ও দেবর আমিনের মা বলেন এক হাতে তালি বাজে না দুইজনেরই দোষ আছে আমি দুইজনকেই নিষেধ করেছি কেউ শোনেনি। আমি এখন চাই আমার বড় ছেলে মোতালেব বোবা কথা বলতে পারে না কলি জেনেশুনেই আমার ছেলেকে বিয়ে করেছে সে তারই ভাত খাক আর ছোট ছেলে আমিন নতুন বিয়ে করেছে বউ নিয়ে এসে সংসার করুক।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী মুরুব্বী এরশাদ জানান,
মেয়েটি সকালে আমার কাছে এসেছিল আমি সব শোনার পরে বলেছি আমি তোমার স্বামীকে তালাক করাতেও পারবো না আবার তোমার দেবরের সাথে বিয়েও দিয়ে দিতে পারব না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর শশুর আব্দুল মালেক বলেন আমি বেটাকেও শাসিয়েছে বেটার বউ কেউ শাসিয়েছে তারা আমার কথা শোনে না উল্টো আমাকেই বুঝদেই তারা
ছেলে ও বৌমাকে দুজনকেই শাসন করেছি কেউ আমার কথা নেয় না উল্টো আমাকে বোঝায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করে মোঃ আমিন বলেন, আমি ইবলিশ শয়তানের প্রতারণায় পড়ে ভুল করেছি আমাকে মাফ করে দেন আমি এখন সব ছেড়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ধরেছি আমি আর ভুল করবোনা, আমি নতুন বিয়ে করেছি বউ বাড়িতে নিয়ে এসে সংসার করতে চাই আপনারা আমার শ্বশুরবাড়িতে কিছু জানাইয়েন না। তিনি হিজবুত তাওহীদের সদস্য বলেও নিজেকে দাবি করেন
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন: এ ধরনের কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি । যদি অভিযোগ আসে তাহলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।