মোঃ করিম, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার অভিবাসন প্রবণ এলাকা। আর একারণে এ এলাকা পাচারের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সমঝোতা ও সম্মতির ভিত্তিতে অভিবাসন বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক পৃথক প্রশিক্ষণ ও ওরিয়েন্টেশনে বক্তারা একথা বলেছেন। কক্সবাজারের ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এর আয়োজন করেছে উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যাশীর "শক্তিশালী এবং তথ্যবহুল অভিবাসন প্রক্রিয়া-সিমস" (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প।
দ্বিতীয় দিন ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী মেডিয়েশন বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির জেলা সমন্বয়ক রশিদা খাতুন, এডভোকেট বিশ্বজিৎ ভৌমিক, অ্যাডভোকেট রাবেয়া সুলতানা, এডভোকেট তিলক কর্মকার।
১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বরূপা পাল।
এ ওরিয়েন্টেশনে ২০১৩ সালের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন, অভিবাসীদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা, বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ, প্রবাসীদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। দাতা সংস্থা সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে এবং হেলভেটাস বাংলাদেশ এর কারিগরি সহায়তায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, ওয়েলফেয়ার সেন্টার, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বুয়েসেল, বায়রা, বিএমইটি, ডেমো, প্রবাস বন্ধু কল সেন্টার, মাইগ্রেশন কর্নার, মাইগ্রেশন ফোরাম প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
এতে আয়োজক সংস্থার উপজেলা সমন্বয়ক মোঃ আলী আজগর ও ইউনিয়ন সোশ্যাল মোবিলাইজার আঁখি পাল উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, অভিবাসন বিষয়ক প্রাচীন সেবা সংস্থা RAMMRU প্রভৃতি সংশ্লিষ্ট রয়েছে।
আয়োজকরা আরো জানায়, দেশের ১৬ জেলায় ১৩৯টি শাখার মাধ্যমে ১৯টি প্রকল্পে হেলথ, স্যানিটেশন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, লাইভলীহুড প্রজেক্ট সহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।