শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
বোয়ালমারীতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল শিশু খাদ্য উদ্ধার ও ধবংস বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ মৎস্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি মেহেরপুরে আমঝুপি মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক সরিষাবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী চিরকুট  লিখে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা দেড়যুগ পর জন্মস্থান ডোমারে আসছেন:তুহিন দিনাজপুর চিরিরবন্দরে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত  দরিদ্র মোস্তাফিজুরের বিশ্ববিদ্যালয় জয় অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত: দুশ্চিন্তায় বাবা-মা দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবকের আত্মহত্যা সরকারের লোকজনই চাঁদাবাজি করছে, ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই” — মির্জা আব্বাস দেশ নিয়ে যড়যন্ত্র চলছে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে : এ্যানী চৌধুরী

ভারত পাকিস্তানের তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে: জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু

 

মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার
পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জবাবে এই সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার সংঘটিত এই হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, ভারত কোটলি, ভাওয়ালপুর ও মুজাফ্ফরাবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অভিযানগুলি পাকিস্তানি সেনা ঘাঁটির বিরুদ্ধে নয়, বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের প্রশিক্ষণ শিবির ও অস্ত্র ডিপো ধ্বংসের জন্য পরিচালিত হয়েছে।

ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ ও জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের আওতায় পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার প্রমাণ মিলেছে, যার জবাবে এই স্ট্রাইক পরিচালিত হয়েছে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “এই অভিযানগুলি শুধুমাত্র জঙ্গি শিবিশ ও তাদের অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বা তাদের কোনো স্থাপনাকে সরাসরি টার্গেট করা হয়নি।”

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে। পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয় হয়ে ওঠে। পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও না বাড়ানোর আহ্বান জানালেও, বর্তমান পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।

পাকিস্তান সরকার ভারতের এই হামলাকে “আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন” বলে নিন্দা জানিয়েছে এবং জবাবদিহির হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা কোনো রকম উত্তেজনা বাড়াতে চাই না, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কোনো আপোস করব না।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত