বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ ঠান্ডা ও কিছু দিন ধরে হালকা কাশি থাকায় ২৭ বছর বয়সের এক নারী কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি করা বান্ধবীর সাথে আলাপ করেন।বান্ধবী তাকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে তাকে কফ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে ব্র্যাক এনজিও টিভি প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার সাথীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন ক্লিনিকের সিএইচসিপি মনিরা। ব্র্যাক এনজিওর টিভি প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার সাথী স্যাম্পল সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করিয়ে রোগীবে জানান তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএলসিআই রুবেল, টিভি প্রকল্পের ম্যানেজার ফাতিমা ও ল্যাব অফিসার সুব্রতর যোগসাজশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মেহেদী হাসানের স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করেন রিপোর্টও।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ গ্রামে।
ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোন ধরনের রিপোর্ট না দিয়ে মৌখিকভাবে যক্ষা হয়েছে বলে নারীকে জানান সাথী। পরে হাসপাতাল থেকে ঔষধ দেওয়া হয় তাকে। সেই ঔষধ তিন দিন খাওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেন সে।পরে স্বজনরা তাকে বরিশালে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মামুনুর রশিদের কাছে নিয়ে গেলে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যক্ষ্মা হয় নি বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী বলেন, টার্গেট পূরণ ও নিজেদের এচিভমেন্ট প্রমাণের তারা এই ধরনের রিপোর্ট মাঝে মাঝে তৈরি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মেহেদী হাসানকে রিপোর্টের স্বাক্ষর দেখালে তিনি বলেন, এটি আমার স্বাক্ষর নয়। আমার স্বাক্ষর কপি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্রাক টিভি প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার সাথী বলেন, আমরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারেই রোগীকে ওষুধ দিয়ে থাকি। আপনারা হাসপাতালে এসে চা খেয়ে যান।
প্রকল্প ম্যানেজার ফাতিমাকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে লাইনটি কেটে দেন।
পটুয়াখালী জেলার প্রকল্প অর্গানাইজার সৌমেন দাস জুয়েল মুঠোফোনে বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।