বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ন
এস এম মনিরুজ্জামান, স্ট্যাফ রিপোর্টার, (দৈনিক সরেজমিন): টঙ্গী ইজতেমা মাঠে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ভূরুঙ্গামারী সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম এবং তৌহিদী জনতার ব্যানারে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখ, রবিবার সকাল ১০টায় ভূরুঙ্গামারী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমায়েত হয়ে সমাবেশটি শুরু হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা তাদের গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সা’দপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। এতে সর্বস্তরের জনগণ, ওলামায়ে কেরাম এবং তাবলিগের সাধারণ সাথীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। সমাবেশে ওঠা প্রধান দাবিগুলি হলো: টঙ্গী ইজতেমা মাঠে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত সা’দপন্থী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। ২. ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সকল মসজিদে সা’দপন্থী সন্ত্রাসীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। ৩. ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সা’দপন্থী সন্ত্রাসীদের মসজিদ কেন্দ্রিক সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করা। সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন মুফতি মাওলানা মোঃ নুর আলম, মুফতি সা’দ বিন নিজাম, মুফতি জিয়াউল হক, মুফতি এস এম মনিরুজ্জামান মুফতি রাশেদুল ইসলাম, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মাওলানা আশফাকুর রহমান জাওহারী, এবং মাওলানা জালালুদ্দিন প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মাওলানা সা’দের ভ্রান্ত মতবাদ এবং তার অনুসারীদের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, মাওলানা সা’দের ভ্রান্ত মতবাদ ইসলামের মূল শিক্ষার বিপরীত এবং এটি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভেদ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সা’দপন্থীদের কর্মকাণ্ড ইসলামের সঠিক পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং দেশব্যাপী সহিংসতা ও উগ্রপন্থার বিস্তার ঘটাচ্ছে। সমাবেশ শেষে, একটি বিশাল মিছিল বের হয় যা ভূরুঙ্গামারীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে। মিছিলটি বিভিন্ন স্লোগানসহ শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। স্লোগানগুলো ছিল: “নারায়ে তাকবীর – আল্লাহু আকবার”,”সাদিয়ানিদের কালো হাত- ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও”,”সাদিয়ানিদের আস্তানা- বাংলাদেশে হবে না”, ” বয়কট বয়কট-সাদিয়ানি বয়কট”। এই সমাবেশটি ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ, যা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জনগণের দাবির প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিফলন