শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
প্রতিবেদক: মাহতিম আহমেদ রাজা
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নে এক বিস্ময়কর ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ঘটনা ঘটেছে। অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরী তার সৎ পিতার সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে দাবি করেছে, এখন সে তার স্বামীর স্ত্রী!
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরিয়ম (ছদ্মনাম) নামের ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী শ্যামকুড় এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার মা জেসমিন (ছদ্মনাম) চার বছর আগে শহিদ (ছদ্মনাম) নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। সেই সংসারে আরও রয়েছে দুটি সন্তান।
দুই সপ্তাহ আগে মরিয়ম ও তার সৎ পিতা শহিদ নিখোঁজ হন। বিষয়টি জানিয়ে মরিয়মের মা মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোরীটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও শহিদ এখনও পলাতক রয়েছেন।
উদ্ধারের পর মরিয়ম পুলিশের কাছে জানায়, শহিদ তার মাকে তালাক দিয়ে তাকে (মরিয়মকে) বিয়ে করেছেন এবং তারা এখন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে থাকছেন।
ঘটনাটি এলাকাজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সামাজিক, ধর্মীয় এবং নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গভীর সংকট বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। অনেকেই এ ঘটনাকে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ের নিদর্শন হিসেবে দেখছেন।
একজন এলাকাবাসী বলেন, “এটি কেবল একটি পরিবারের ঘটনা নয়—সমাজব্যবস্থার ওপর এটি গভীর প্রভাব ফেলবে।”
মনিরামপুর থানার একজন কর্মকর্তা জানান, “মরিয়মকে বর্তমানে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং পুরো ঘটনাটি তদন্তাধীন। পলাতক শহিদকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা শিশু সুরক্ষা, পারিবারিক নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।