বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
আবুল হোসেন বাবলুঃ
নিখোঁজ নয়, হত্যা করা হয়েছিলো মাদ্রাসা শিক্ষার্থী দোলা মনিকে। রংপুরের কাউনিয়ায় মাত্র ১৫০ টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যা করা হয় দোলা মনিকে। হত্যার ৪১ দিন পর সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে ৪ বছর বয়সী দোলা মনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী রাত ৮টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা (বিজলের ঘুন্টি) গ্রামের আফজাল হোসেনের সেফটি ট্যাংক থেকে শিশু দোলার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ আভিযানিক দল।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, কুর্শা ইউনিয়নের মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা (বিজলের ঘুন্টি) গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের কন্যা মাদ্রাসার শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থী দোলা মনি (৪) গত ১৭ জানুয়ারী বিকেলে বাবা-মায়ের অজান্তে বাড়ি থেকে উঠানে বের হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে খুঁজে না পেলে কাউনিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দোলা মনির বাবা দেলোয়ার হোসেন।
এরই প্রেক্ষিতে রংপুর ৭২ বিগ্রেডের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ বেঙ্গল ইউনিটের ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান নিয়নের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি চৌকোস টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে দোলা মনির মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রংপুর জেলার
কাউনিয়া থানাধীন ধর্মেশ্বর গ্রামের
মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম এর ছেলে সুমন মিয়া এবং নুরুল ইসলামের ছেলে মামুন মিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউনিয়া থানার নিদর্শক তদন্ত মোস্তফা কামাল জানান, হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখিত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৩ জনকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত দোলা মনির বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
###
আবুল হোসেন বাবলু,
রংপুর ব্যুরো,
০১৭১৩৬৩৬৯৪৩
০১/০৩/২০২৫