রংপুর ব্যুরোঃ
রংপুর মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে ২ নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ।
বুধবার ১৪ মে দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই আবাসিক হোটেল তিলোত্তমায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ। এ সময় হোটেলের ২০৪ এবং ২১০ নং রুম থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, রংপুর জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই আবাসিক হোটেলটি জয়নাল আবেদীন @ মুন্না জেলা পুলিশ সুপার এর কাছ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ গ্রহণ করে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিলোত্তমা হোটেলের লিজ গ্রহিতা স্বত্বাধিকারী রংপুর জেলার কাউনিয়া থানাধীন হরিশ্বর গ্রামের মৃত মমতাজ হোসেন এর ছেলে জয়নাল আবেদীন @ মুন্না (৪৭) এবং তার কর্মচারীরা মিলে হোটেল ব্যবসার আড়ালে এ ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
গ্রেফতারকৃতরা রংপুর মহানগর কোতোয়ালী থানার অন্তর্ভুক্ত বালাপাড়া মহল্লার আজিউর রহমানের ছেলে তাইজুর রহমান কনক (৪৪), একই থানাধীন(লালবাগ মসজিদের পার্শ্বে) বালাপাড়া মহল্লার ইসমাইল হোসেন এর মেয়ে মোছাঃ আফরোজা নাসরীন (৩০), রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত শানেরহাট খোলাহাটী গ্রামের ( রূপকভিলা) বর্তমান ঠিকানা রংপুর মহানগর কোতোয়ালী থানাধীন শাপলা চত্ত্বর (আজিজ মেস) মৃত বেলাল খানের ছেলে রুপক খান (২৬), মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানাধীন বালাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে (তিলোত্তমা হোটেলের কর্মচারী) মোছাঃ শারমিন সুলতানা, মহানগর কোতোয়ালী থানাধীন বাসা নং-৫০, রোড-৪/২, ওয়ার্ড নং-১৭ এর বাসিন্দা মৃত হাফিজুল হক এর ছেলে মঞ্জু মিয়া (৫২) এবং কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ রামখানা গ্রামের মৃত আঃ ছাত্তার এর ছেলে মিজানুর রহমান মামুন (৩০)। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযুক্তরা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অসামাজিক কাজে সহযোগিতা করায় তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ###