শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
আবুল হোসেন বাবলুঃ
বিয়ের পর দীর্ঘদিন যাবত সন্তানাদি না হওয়ায় বন্ধ্যাত্বের অভিযোগ এনে পরিবারের লোকজন মিলে নিঃসন্তান গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
কবরের পাশে হাত-পা বাঁধা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, নিহতের পিতা।
এজাহারের বরাত দিয়ে র্যাব-১৩’র অধিনায়কের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আনুমানিক ৮ বছর পূর্বে ভিকটিম খাইরুন নাহার (২৬) এর সাথে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক তাজমুল হক (৩৩) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর খাইরুন নাহার এর সন্তান না হওয়ায় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন অত্যাচার চালায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এছাড়া তাজমুলের পরিবারের পক্ষ থেকে তাজমুল কে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য প্রলোভৃত করা হয়। যার ফলে খাইরুন ও তাজমুল হক এর মধ্যে মানসিক এবং পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে ২১ এপ্রিল তাজমুল ও তার পরিবারের লোকজন মিলে গৃহবধূ খাইরুন নাহারকে হত্যা করে বাড়ির পাশে কবরস্থানে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ২১ এপ্রিল সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর ১৫, তারিখ ২১/০৪/২০২৫।
থানায় মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৩ সিপিসি-১ দিনাজপুর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২১ মে, বিকেলে পঞ্চগড় জেলার সদর থানা এলাকার হালুয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহার ভুক্ত আসামী নিহত
খাইরুন নাহারের স্বামী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার অন্তর্ভুক্ত
দুওসুও সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের
মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে তাজমুল হক কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ###