বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মাদক সেবনের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার দুদকের চোখে চৌদ্দগ্রামের সড়ক প্রকল্প: ১.৬৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ঘিরে দায়মুক্ত দুর্নীতির আলামত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে এনসিপির ঘোষিত সমাবেশ শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে সিংড়ায় ধানবোঝাই ট্রাকে চাঁদাবাজি : সেনাবাহিনীর অভিযানে হাতেনাতে আটক বিএনপি নেতা জয়নালসহ তিনজন গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিনকে নির্যাতনের পর কারাগারে মৃত্যু : সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশে উত্তাল আহলে সুন্নাত জনতা, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম কক্সবাজার টেকনাফ শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামী আটক। র‌্যাব-১৩’র অভিযানে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার-গ্রেফতার-১ কমলনগর(এলজিইডি)অফিসে দুদকের অভিযান নওগাঁয় প্রায় ৩৫ টি পরিবারের লোকজনের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় প্রতিকারের দাবিতে মানববন্ধন নোয়াখালীতে যুবককে গুলি করে হত্যা আটক ৩, থানায় মামলা

টাকা ফেরত চাইলে হুমকির শিকার সাংবাদিক, থানায় অভিযোগ

আব্দুর রশিদ, ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি:

ব্যক্তিগত অফিস ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য চার বছর আগে চুক্তিতে দোকান ভাড়া নেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার শাহিনুর রহমান নামের এক সাংবাদিক। তবে নিয়ম মেনে দোকানটি ছেড়ে দিতে গেলে দোকান মালিকের নানা গড়িমসি ও হুমকির মুখে পড়েন তিনি। বিষয়টির দ্রুত সমাধান চেয়ে ডোমার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই সাংবাদিক।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহিনুর রহমান ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা (ডাঙ্গাপাড়া) এলাকার মো. আবতার উদ্দিনের ছেলে ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার ডোমার উপজেলা প্রতিনিধি।

অভিযুক্ত মো. শফিক আল ওয়াজান (সম্রাট) ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা (ডাঙ্গাপাড়া) এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে সম্রাট তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া ইউনিয়নের কিসামত দলুয়াতে থাকে।

শনিবার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দোকান মালিক সম্রাট এলাকায় একটি আমার বাজার নামে এমএলএম ব্যবসার মাধ্যমে বহু মানুষের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এমএলএম কোম্পানিটি প্রতারণার মাধ্যমে পালিয়ে গেলে সম্রাটও কিছুদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান তার গ্রামের বাড়িতে।

সাংবাদিক শাহিনুর রহমান জানান, “দোকানটি ছেড়ে দিতে চাইলে দোকান ঘরের মালিক সম্রাট নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করেন এবং একপর্যায়ে বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।”

অভিযুক্ত দোকান মালিক সম্রাটের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ও সন্তান জানিয়েছেন, সম্রাট কয়েকদিন ধরে বাড়িতে নেই এবং তাদের নাম্বারও ব্ল্যাকলিস্টে রেখেছেন।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি আইনি প্রকৃয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সম্রাটের এমএলএম ব্যবসার প্রতারণার কারণে অনেকেই আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তার দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত