শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
হাটহাজারীতে আওয়ামীলীগ নি-ষি-দ্ধের দা-বীতে বি-ক্ষো-ভ মি-ছিল ও সমাবেশ কুড়িগ্রামের উলিপুরে সালিশের নামে ন্যায়বিচারহীনতার নজির নওগাঁয় সার্ভেয়ার আমিন সমিতির সদস্য মরহুম চানমিয়ার মৃত্যুর সৎ কাজের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত মেহেরপুর গাংনীতে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে চাচা শ্বশুর খুন-জামাই সবুজ আটক গাইবান্ধায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক কারবারি আটক মেহেরপুরে বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল দেশে ১০০ মিনি হিমাগার তৈরি করা হবে-স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

উখিয়া-টেকনাফে গহীন পাহাড়ে যৌথ-বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র মাদক জব্দ।

 

জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে হ্নীলা ইউনিয়ন বাহার ছড়া গহীন পাহাড়  দীর্ঘ‌ ৮ ঘন্টা‌‌   মাদক নির্মূল ও অপহরণ প্রতিরোধে র‌্যাব ও যৌথ-বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ১২ রাউন্ড তাজা গুলি ও কার্তুজ, ইয়াবা সহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় তৈরি রামদা উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার( ৮মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ও বাহারছড়া ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে অপহরণকারীর আস্তানা থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বিকালে সাড়ে ৩ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা একটি অপরাধ প্রবণ এলাকা। এখানে মাদক, চোরাচালান ও অপহরণের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। সম্প্রতি মাদক ও অপহরণ দুটো অপরাধই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।পাশাপাশি গত ৩ মাসে কক্সবাজার জেলায় ৪০টি মত অপরহণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৩০ টির মত ঘটনা টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা সংঘটিত হয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্যমতে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় অপহরণকারীরা ভিকটিমদেরকে উখিয়ার জালিয়া পালং, শ্যামলাপুর, কুটুমগুহা এবং টেকনাফ উপজেলার মধ্যে রঙ্গীখালী, আলীখালী ও জাহালিয়া পাড়ার গহীন পাহাড়ে রাখে। এসব পাহাড়ী গহীন এলাকা গুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী  দুর্গম হওয়াতে সন্ত্রাসী ও অপহরণকারীদের নিরাপদ আশ্রয় মনে করে। এসব অপহরণকারী ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা চিহ্নিত করে ধ্বংস এবং মাদকের রুট বন্ধ করার উদ্দেশ্যে আমরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে র‌্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর পাঁচ শতাধিক ফোর্স নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। র‌্যাবের পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলা সকল কর্মরত সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ এবং বনবিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

তিনি আরোও বলেন, সাঁড়াশি অভিযানে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত আস্তানা কয়েকটি অস্থায়ী টংঘর ও কটেজের সন্ধান পাই। সেখানে তল্লাশি করে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মাদক ১০০ গ্রাম গাজা, ২ হাজার ৫০ পিস ইয়াবা এবং ২টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটার গান, ১১টি গুলি, ১টি অস্ত্র তৈরীর যন্ত্রাংশ, ৪টি রামদা, ২টি ছুরি, ১টি চাকু, ৩টি কিরিজ উদ্ধার করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত