শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দিনাজপুর ওর্য়াল্ড ভিশন’র উদ্যোগে শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কুড়িগ্রামে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিল্টন সমাদ্দার ও স্ত্রীকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৮ জন অসহায় ও দুঃস্থ মহিলার মাঝে সেলাই মেশিন সামগ্রী বিতরণ রংপুরের হোটেল তিলোত্তমা থেকে ২ নারীসহ অভিযুক্ত ৬ জন গ্রেফতার গোপালগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিন পর নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার নোয়াখালীতে ২১দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ২ বোন এসপিজিআরসি রংপুরের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন স্বরণে মিলাদ মাহফিল দিনাজপুরে হরিমনি দেব্যা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কাউগাঁ রাজাপুকুরে সত্য নারায়ন পূজা অনুষ্ঠিত

বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ মৎস্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

 

আব্দুল মতিন মুন্সী ( বোয়ালমারী,ফরিদপুর প্রতিনিধি) ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দরিদ্র জেলে বা মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার স্বীকৃত ৭৫ মৎস্যজীবীর হাতে একটি করে বকনা বাছুর তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান চৌধুরী। অসহায় জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিতে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ- উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের মাঝে এই গবাদিপশু বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন সহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই গবাদি পশু বিতরণ কর্মসূচিকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গো-ছানা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম,ব্যবস্থাপনা,দূর্নীতি ও স্বজন প্রীতি অভিযোগ তুলে এর কঠোর সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। বোয়ালমারী পৌর জামাতের আমীর মাওলানা সৈয়দ নিয়ামুল হাসান বলেন,গবাদি পশু বিতরনের মত এত বড় একটা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলো অথচ আমরা কিছুই জানিনা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জসীমউদ্দীন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে অতি গোপনে তালিকা করে নিজের পছন্দের লোকদেরকে গরু দিয়েছেন। এই তালিকার অধিকাংশ সুবিধা ভোগীই পতিত স্বৈরাচারদের মতানুসারি। এরা ১৭ বছর ধরে সুবিধা ভোগ করে আসছে এবং এখনো করছে। অথচ প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরও আমাদের লোকজন এখনো বঞ্চিত। নিয়ামুল হাসান অভিযোগ করে বলেন,৫ আগস্টের অনেক আগে থেকে মৎস্য কর্মকর্তা এ উপজেলায় কর্মরত। ফ্যাসিস্টের দোসরদের সঙ্গে এখনো তার দহরম -মহরম সম্পর্ক। আর তাদের সহায়তা নিয়েই মৎস্যজীবীর তালিকা করে গরু বরাদ্দ দিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের অপসারণ দাবি করেন নিয়ামুল হাসান। বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ খান বলেন,আমার আধার কোঠা এলাকায় বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীই মৎস্যজীবী পরিবারের। অথচ মৎস্যজীবীদের কল্যাণে নেওয়া কর্মসূচির বিষয়ে কিছুই জানতে পারলাম না। আমার মহল্লার গরিব জেলেদের কেউই একটা গবাদি পশু পায়নি। অসাধু মৎস্য কর্মকর্তা ফ্যাসিস্টদের দোসরদের সঙ্গে আতাত করে মাথা পিছু ৫/৭ হাজার টাকার বিনিময়ে মৎস্যজীবীদের গরু দিয়েছেন বলে অভিযোগ সামাদ খানের।বোয়ালমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার সাহা ও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক বিশ্বনাথ সরকার বলেন,আমাদের সংগঠনে কার্ডধারী অনেক মৎস্যজীবী রয়েছে।অথচ আমাদের না জানিয়েই মৎস্যজীবীর তালিকা করে গরু বরাদ্দ দেয়া হলো। আমাদের বঞ্চনার দিন কবে শেষ হবে বুঝতে পারছি না। খবর পেয়ে অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করেও গরু বিতরণ ঠেকানো যায়নি। কাদের সঙ্গে আলোচনা করে মৎস্য কর্মকর্তা মৎস্যজীবীদের তালিকা করলেন সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে রইলো। মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে ফ্যাসিস্টদের দোসর আখ্যা দিয়ে তার দ্রুত অপসারণ দাবি করেন এই দুই জাতীয়তাবাদী নেতা। এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,গবাদি পশু বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। অনেক আগে তালিকা করা হয়েছিল। আর সে মোতাবেকই পশু বিতরণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত