নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষের ভোট বা মতামতের কোনো মূল্যায়ন করা হয় না। বিগত দিনে অর্ধ শতাংশের কম ভোট পেয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে অনেকেই ক্ষমতায় গিয়েছে। ফলে তারা স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় সকল জনগণের ভোটের মূল্যায়ন করতে পারলে আগামী দিনে আর কোনো নতুন স্বৈরাচারের জন্ম নিতে পারবে না। আর সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) মাধ্যমেই সকল জনগণের ভোট বা মতামতের মূল্যায়ন করা সম্ভব।
আজ সোমবার (১৪ই অক্টোবর’২৪) বিকাল ৩টায় লাকসাম পৌর অডিটরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লাকসাম উপজেলা শাখা আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। তিনি আরো বলেন, লাকসামে গত ১৫ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি, এখানে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি। মানুষের সকল প্রকার অধিকারকে হরণ করেছে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের সাংসদ। আজ তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
শাখা সভাপতি মাওলানা ইস্রাফিল মাহমুদ-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা মোরশেদুল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাওলানা নূরুদ্দীন হামিদী, সেক্রেটারি মাওলানা আহমাদ উল্লাহ খালিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য রশীদ আহমাদ রায়হান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি নেছার উদ্দিন সুমন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ শাহাদাত হোসাইন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ লাকসাম থানা শাখার সভাপতি মাওলানা আবু ইউছুফ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল খায়ের, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জামাল হোসাইন সহ থানা ও ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ।